যদি আপনি শেখ আকিজ উদ্দিনের (আকিজ প্রতিষ্ঠাতা) ব্যক্তিগত ছাত্র হতেন তাহলে ঠিক এই স্টেপ গুলো তিনি নিজ হাতে আপনাকে সেলস শিখাতেন।
✅ফেজ–১: “মানুষকে বুঝতে শেখো” শেখ আকিজ উদ্দিনের প্রথম শিক্ষা হতো তুমি আগে মানুষকে বুঝতে শিখো, তারপর পণ্য বিক্রি করবে। তিনি বলতেন: “বিক্রি তখনই হবে, যখন তুমি বুঝবে মানুষ কেন কিনতে চায়।” আপনার কাজ: • সপ্তাহে ৩টা মার্কেট ভিজিট • প্রতিদিন ১০ জন অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলা • প্রতিদিন ৩টি মানব আচরণ শেখার নোট লেখা ✅ফেজ–২: “ছোট বিক্রি দিয়ে বড় বিক্রি শিখো” তিনি নিজে যেভাবে বিড়ি বিক্রি থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, আপনাকেও বলতেন ছোট পণ্য বিক্রি শিখো এটাই বড় সেলসের ভিত্তি। আপনার কাজ: • সপ্তাহে অন্তত ১টি ছোট পণ্য/সার্ভিস বিক্রি করা • কস্ট, মার্জিন, রিপিট কাস্টমার ট্র্যাক করা • সপ্তাহে ২ দিন নেগোশিয়েশন রোল-প্লে ✅ফেজ–৩: “সততা + সম্পর্ক = সেলস” তিনি বলতেন: “লাভের আগে মানুষের হৃদয়ে জায়গা বানাও।” এটাই আকিজ গ্রুপের গ্রোথের মূল রহস্য। আপনার কাজ: • ৫০ জন যোগাযোগের তালিকা বানিয়ে নিয়মিত ভ্যালু দেওয়া • লাভ কম হলেও সত্য কথা বলা • প্রতিটি কাস্টমারের লাইফটাইম ভ্যালু চিন্তা করা ২) ডেইলি + উইকলি ট্রেনিং রেজিমেন ✅ ডেইলি রুটিন (১–২ ঘণ্টা) ☀️ সকাল (২০ মিনিট): • ২ পৃষ্ঠা ব্যবসায়িক বই বা জীবনী পড়া • গতকালের কাস্টমার আচরণ রিভিউ 🌞 দুপুর (৩০–৬০ মিনিট): • ১০টি কোল্ড পিচ প্র্যাকটিস • ৫টি কমন অবজেকশন হ্যান্ডলিং (“পরে নেব”, “টাকা নাই”, “ভাবছি”, “মনে ধরেনি”) 🌙 রাত (১০ মিনিট): • ছোট জার্নাল: • আজ কী শিখলাম? • কোন ভুল করলাম? • কাল কী উন্নতি করবো? 🧭 উইকলি রুটিন • ১ দিন: মার্কেট ভিজিট + ৫০টি কাস্টমার অবজারভেশন • ১ দিন: নেগোশিয়েশন রোল প্লে • ১ দিন: প্রাইসিং শেখা • ১ দিন: ১টি পণ্য/সার্ভিস বিক্রি • সপ্তাহান্তে: পুরো সপ্তাহের রিভিউ ৩) শেখ আকিজ উদ্দিনের সেলস মাইন্ডসেট 🟩 “চাকরি করলে খেতে পারবা, ব্যবসা করলে খাওয়াতে পারবা।” অর্থাৎ, লিমিটেড চিন্তা নয় গ্রোথ চিন্তা। 🟩 “গ্রাহক আগে, লাভ পরে।” বিশ্বাস জিতলে লাভ নিজে থেকে আসে। 🟩 “অভাব মানুষকে বুদ্ধিমান করে।” কম দিয়ে শুরু করো ভুলগুলো দ্রুত শিখো। 🟩 “মানুষকে সম্মান দিলে, সে তোমার পণ্যকেও সম্মান দেবে।” রূঢ় কথা = হারানো কাস্টমার। 🟩 “ট্যালেন্ট না, নিয়মিততা সফলতার আসল চাবি।” প্রতিদিনের রুটিন = বড় ফলাফল। ৪) 📚 বই ✔ আবুল খায়ের গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতার জীবনী ✔ ব্যবসায়ী এ কে খান এর জীবন ✔ জব্বার ভাই (জামালপুরের তামাক ব্যবসার উপাখ্যান) আপনাকে সংকট মোকাবিলা শিখাবে। ✔ আল-হাদিস (ব্যবসা, সততা, লেনদেন, পাওনা-পাওনাদারি অধ্যায়) 🔰 কারণ: ✔ ব্যবসায় সততা ✔ ন্যায়বিচার ✔ প্রতিশ্রুতি রক্ষা ✔ সরলতা এসব তাঁর ব্যবসার মূল ভিত্তি ছিল 🧠 “বই ভালো, কিন্তু বইয়ের চেয়ে বড় হলো মানুষের জীবন।” 🧠 “যা শিখবি, আজকেই কাজে লাগাবি। কাল নয়।” এটাই তাঁর সেলস দর্শন 🎯 রিয়াল-লাইফ এক্সপেরিয়েন্স • ফ্যাক্টরি ভিজিট • ফুটপাথ/বাজারের বিক্রেতা পর্যবেক্ষণ • ৩ মাসের সেলস ইন্টার্নশিপ ৫) কিভাবে তিনি আপনার সেলস স্কিল মূল্যায়ন করতেন 💡 কতজন গ্রাহক তোমাকে বিশ্বাস করে? বিশ্বাস > বিক্রি 💡 রিপিট কাস্টমার কত পাচ্ছো? এটাই সঠিক সেলস প্রুফ। 💡 নেগোশিয়েশনে তুমি কি শান্ত থাকতে পারো? ইমোশন = সবচেয়ে বড় শত্রু। 💡 ছোট কাজগুলো সময়মতো শেষ করো কিনা? ডিসিপ্লিন = ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। ৬) প্রাইসিং স্কিল যেভাবে তিনি আপনাকে মূল্য নির্ধারণ শিখাতেন 💸 🔶 আগে বিশ্বাস তৈরি পরে দাম নাও। তুমি যত বিশ্বাসযোগ্য, দাম তত উচ্চ 🔶 তিন টায়ার প্রাইসিং: • বেসিক • গ্রোথ • প্রিমিয়াম collectedআফিল উদ্দিন আমার বড় ভাই, তবে আমরা ভিন্ন মতাদর্শের: শেখ বশিরউদ্দিন
আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আকিজ উদ্দিনের ৩ স্ত্রীর ১৫ সন্তানের মধ্যে ২ জন হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
প্রয়াত শেখ আকিজ উদ্দিন ১৯৯৯ সালে সন্তানদের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে দেন। সেই থেকে আফিল উদ্দিনের সঙ্গে বশিরউদ্দিনের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তাঁদের পারিবারিক যোগাযোগও খুব বেশি নয়। ২০২৩ সালে শেখ বশির যখন নিজের আকিজবশির গ্রুপের যাত্রা শুরু করেন, তখন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসেননি শেখ আফিল।
শেখ বশির গত রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তার পর থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিলের ভাই হিসেবে ধরে শেখ বশিরকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে; যদিও শেখ বশির সম্পর্কে জানাশোনা থাকা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শেখ আফিল ও শেখ বশিরের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। শেখ বশির ব্যবসায় মনোযোগী ছিলেন। আফিল ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে গত সোমবার শেখ বশির সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করেছেন, তাঁদের আবেগের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আমার ধারণা, ওনারা মিস ইনফরমড (ভুল তথ্য পাওয়া)। ওনাদের তথ্যের ভিত্তি সঠিক নয়।’
যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শেখ বশির বলেন, ‘আফিল উদ্দিন আমার বড় ভাই। আমরা আলাদা মায়ের হলেও বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা করে চলি। তবে রাজনৈতিক আদর্শে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নমতাদর্শের।’
শেখ বশির আরও বলেন, ‘ভিন্ন মা হওয়ায় ১৯৯৯ সালে পারিবারিকভাবে আমরা আলাদা হই। পরে আফিল ভাই রাজনীতিতে যুক্ত হন। আমরা সবাই দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা ব্যবসা পরিচালনা করছি। তিনি মূলত যশোরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও রাজনীতি করছেন। আমিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকাকেন্দ্রিক।’
শেখ আকিজ উদ্দিনের ১৫ সন্তানের মধ্যে ১০ ছেলে ও ৫ মেয়ে। আকিজ উদ্দিনের সন্তানদের মধ্যে ছেলেরাই শুধু ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। ১০ ছেলের মধ্যে ব্যবসা ভাগ করে দেন আকিজ উদ্দিন নিজেই। ২০০৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শেখ আকিজের প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে। এর মধ্যে শেখ মহিউদ্দিন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী। তিনি আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনা করেন। শেখ মমিন উদ্দিন ২০২০ সালে মারা গেছেন। তিনি ট্যানারি, চামড়াসহ বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। শেখ আকিজের প্রথম স্ত্রীর তৃতীয় ছেলে শেখ আফিল উদ্দিন। তাঁর আফিল গ্রুপ নামে ব্যবসা আছে। সেটা মূলত যশোর এলাকায়।
শেখ আকিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে শেখ আমিন উদ্দিন ও শেখ আজিজ উদ্দিন। শেখ আমিনের তথ্যপ্রযুক্তি, গাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। শেখ আজিজের পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট খাত, কৃষিসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।
শেখ আকিজের তৃতীয় স্ত্রীর পাঁচ ছেলে। তাঁরা হলেন শেখ নাসির উদ্দিন, শেখ বশিরউদ্দিন, শেখ জামিল উদ্দিন, শেখ জসিম উদ্দিন ও শেখ শামীম উদ্দিন। এই পাঁচ ভাই ২০২২ সাল পর্যন্ত একত্রে ব্যবসা করেছেন। তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল আকিজ গ্রুপ। পরে তাঁরা ব্যবসা ভাগাভাগি করেন। তবে এখনো ধানমন্ডির একটি বাড়িতে পাঁচ ভাই পরিবারসহ একত্রে বসবাস করেন।
- শেখ নাসির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের আকিজ অ্যাসেট,
- শেখ বশিরউদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের নাম আকিজবশির গ্রুপ,
- শেখ জামিল উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের নাম আকিজ-ইনসাফ গ্রুপ,
- শেখ জসিম উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের নাম আকিজ রিসোর্সেস এবং
- শেখ শামীম উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের নাম আকিজ ভেনচার।
২০২৩ সালের মার্চে আকিজবশির গ্রুপের যাত্রা শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আকিজবশির গ্রুপের অধীন রয়েছে সিরামিকস, স্যানিটারি ও বাথওয়্যার, টেবিলওয়্যার, পার্টিকেল বোর্ড, পাট, স্টিল, চা-সহ ১৬ ধরনের ব্যবসা। বছরের এসব ব্যবসার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার।
নতুন গ্রুপের নবযাত্রার এ ঘোষণা অনুষ্ঠান মঞ্চে শেখ বশিরউদ্দিন হাজির হন তাঁর বাবা শেখ আকিজ উদ্দিনের ব্যবহৃত ভেসপা মোটরসাইকেলে করে মাকে সঙ্গে নিয়ে। এ সময় তিনি জানান, নতুন এ গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁর মা মনোয়ারা বেগম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, শেখ বশির সব সময় রাজনীতি এড়িয়ে চলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গেও তাঁর কোনো ঘনিষ্ঠতা ছিল না। তিনি মূলত একজন নিরেট ব্যবসায়ী। শেখ বশির অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিয়েছেন—এটাই অনেককে অবাক করেছে।
খুলনার ফুলতলা থেকে উঠে আসা শিল্পপতি শেখ আকিজ উদ্দিন শূন্য থেকে শুরু করে আকিজ গ্রুপকে গড়ে তুলেছিলেন। ছেলেদের মধ্যে তিনি বশিরউদ্দিনকে ১৯৮৮ সালে ব্যবসায় নিযুক্ত করেন। তখন তিনি মাত্রা ম্যাট্রিক পাস করেছেন। পদ ছিল স্টেশনারি খরিদকারী। পরে বশিরউদ্দিন তেজগাঁও কলেজের নৈশ শাখা থেকে বিকম পাস করেন। তিনি আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিলেন। পরে নিজের প্রতিষ্ঠান আকিজবশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তিনি। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার আগে ব্যবসার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
রাজধানীর কোন মার্কেট কবে বন্ধ (তালিকা)
দিনের শুরুতেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন এখানে যাবেন, সেখানে যাবেন। পরিকল্পনা মতই নির্দিষ্ট স্থানে ঠিকই গেলেন, কিন্তু গিয়ে দেখলেন তা বন্ধ। তখন মেজাজটা যে কত খারাপ হয় সেটা আর বলার ভাষা থাকে না। তাই জেনে নিন রাজধানীতে কোনদিন দর্শনীয় স্থান, এলাকা এবং মার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে।
রাজধানীতে যানজট কমাতে আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ঢাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধের দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় ২০১০ সালে। এরপর থেকে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণিবিতান এলাকাভিত্তিক আলাদা আলাদা দিন বন্ধ থাকছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে এক দিন পূর্ণ দিবস ও আরেক দিন অর্ধদিবস (বেলা দুইটা পর্যন্ত) বন্ধ থাকছে দোকানপাট।
কোন দিন কোন এলাকার মার্কেট বন্ধ তা এই দীর্ঘ সময়ে ঢাকায় বসবাসকারী অনেকেরই মুখস্থ হয়ে গেছে। তবে অনেকেই আবার ঢাকায় নতুন আসছেন বা স্থায়ীভাবে থাকেন না। তারা বিষয়টা জানেন না। আবার ঢাকায় থাকলেও সবার পক্ষে এই তালিকা মুখস্থ রাখাও সম্ভব না। তাই কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বের হবার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন মার্কেট বন্ধের তালিকায়।
শুক্রবার পূর্ণ ও শনিবার অর্ধদিবস বন্ধ
এলাকার নাম: বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিন-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালী থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঙ্খারপুল, গুলিস্থানের দক্ষিণ অংশ।
মার্কেটের নাম: বাংলাবাজার বইয়ের দোকানগুলো, ফরাশগঞ্জ কাঠের আড়ত, শ্যামবাজার কাঁচামালের পাইকারি বাজার, বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, আলম সুপার মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, কাপ্তান বাজার, ঠাটারিবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, চকবাজার, মৌলভীবাজার, ইমামগঞ্জ মার্কেট, বাবুবাজার, নয়াবাজার, ইসলামপুরের কাপড়ের বাজার, পাটুয়াটুলী ইলেকট্রনিকস ও অপটিক্যাল মার্কেট, নয়ামাটি এক্সেসরিস মার্কেট, শরিফ ম্যানশন, ছোট ও বড় কাটরা পাইকারি মার্কেট, বেগমবাজার, তাঁতীবাজার, নবাবপুর রোড ও নর্থসাউথ রোডের দোকানপাট, আজিমপুর সুপার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট ও সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেট।
রোববার পূর্ণ ও সোমবার অর্ধ দিবস বন্ধ
এলাকার নাম: আগারগাঁ, তালতলা, শেরে বাংলা নগর, শ্যাওড়া পাড়া, কাজী পাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুখেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএসএইচ, ওল্ড ডিওএসএইচ, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলসান-১, ২, বনানী, মহাখালী কমার্শিয়াল এরিয়া, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টার সিটি বাস টার্মিনাল এরিয়া, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁ, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ী একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।
মার্কেটের নাম: এসকল এলাকার মার্কেটগুলো রোববার পুরোদিন ও সোমবার অর্ধেক দিন বন্ধ থাকে। উল্লেখযোগ্য মার্কেটগুলোর মধ্যে রয়েছে বিসিএস কম্পিউটার সিটি, পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসী পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোরান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ড সুপার মার্কেট।
মঙ্গলবার পূর্ণ ও বুধবার অর্ধদিবস বন্ধ
এলাকার নাম: কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মানিক মিয়া এভিনিউ, রাজাবাজার, মণিপুরিপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ফার্মগেট, কাওয়ান বাজার, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, জিগাতলা, রায়েরবাজার, পিলখানা, লালমাটিয়া।
মার্কেটের নাম : এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বিপণিবিতান: হাতিরপুল বাজার, মোতালেব প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, গ্রিন সুপার মার্কেট, ফার্মভিউ সুপার মার্কেট, সৌদিয়া সুপার মার্কেট, সেজান পয়েন্ট, লায়ন শপিং সেন্টার, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, বাকুশাহ মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, গ্লোব শপিং, বদরুদ্দোজা মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, গাউসুল আযম মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, রাইফেল স্কয়ার, এআরএ শপিং সেন্টার, অরচার্ড পয়েন্ট, ক্যাপিটাল মার্কেট, ধানমন্ডি প্লাজা, মমতাজ প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, প্লাজা এআর, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, অর্কিড প্লাজা, কেয়ারি প্লাজা, আনাম র্যাংগস প্লাজা, কারওয়ান বাজার ডিআইটি মার্কেট, কাব্যকস সুপার মার্কেট ও কিচেন মার্কেট।
বুধবার পূর্ণ দিবস ও বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস বন্ধ
এলাকার নাম: বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাতারকুল, শাহাজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলখেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
মার্কেটের নাম : এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বিপণিবিতানগুলো: লুত্ফন শপিং টাওয়ার, হাকিম টাওয়ার, হল্যান্ড সেন্টার, নুরুন্নবী সুপার মার্কেট, সুবাস্তু নজরভ্যালি, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, রাজউক সেন্টার, একতা প্লাজা, মান্নান প্লাজা, বন্ধন প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমীর কমপ্লেক্স, মাসকাট প্লাজা, এস আর টাওয়ার, পুলিশ কো-অপারেটিভ মার্কেট ও রাজউক কসমো।
বৃহস্পতিবার পূর্ণ ও শুক্রবার অর্ধদিবস বন্ধ
এলাকার নাম: মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরেরপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
মার্কেটের নাম: মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআড়টিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার কর্পোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইং টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মারকেত-১, এবং ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খাদ্দার মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মুকাররম মার্কেট, আজিজ কোওপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
টাইলস লাগানোর নিয়ম - টাইলস নিয়ে সব সমস্যার সমাধান
টাইলস লাগানোর নিয়ম - টাইলস নিয়ে সব সমস্যার সমাধান
এখন আমরা টাইলস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- · টাইলস কি?
- · টাইলস এর প্রকার।
- · ফ্লোর টাইলস এর কাজ।
- · ওয়াল টাইলস এর কাজ।
- · টাইলস কত পিস লাগবে তার হিসাব।
- · টাইলস এর জন্য মালামালের হিসাব।
টাইলস কি?
সিভিল কাজে টাইলস একটা ফিনিশিং আইটেম।আগে ফ্লোরে নেট সিমেন্ট ফিনিসিং করতো আর এক্সপেনসিভ আইটেম বড়জোর মোজাইক আর এখন টাইলস অন্যতম ফিনিশিং আইটেম ।টাইলস হল সর্বাধুনিক ফ্লোর ফিনিসড এটা স্থাপনে জটিলতা নেই দেখতে সুন্দর এটা ফ্লোর ওয়াল দুজায়গাতেই করা হয়।টাইলস সাধারনত ফ্লোর,বাথরুম,কিচেনের ভেতর ই কমনলি লাগানো হয়।
টাইলস এর প্রকার
আমরা এখন অনেক প্রকার টাইলস ব্যবহার করে থাকি, যেমন:-
1.
ফ্লোর ও ওয়াল টাইলস
2.
রাস্টিক টাইলস
3.
পেভম্যান্ট টাইলস
4.
সিরামিক্স টাইলস
5.
সিটি-৫ টাইলস বা বির্ক
বিভিন্ন সাইজের টাইলস বাজারে পাওয়া যাই
ফ্লোর : ১২”x১২, ১৬”x১৬”, ২০”x২০”, ২৪”x২৪”,৩২”x৩২”,২৪”x৪৮” ইত্যাদি
ওয়াল ৮”x১২”, ১০”x১৩”, ১০”x১৬”, ১২”x১৮”, ১২”x২০”, ১২”x২৪”, ১২”x৪৮”
এছাড়া চায়না অনেক প্রকার ওয়াল টাইলস পাওয়া যায়।
ফ্লোর টাইলস লাগানোর নিয়ম ( Tiles Installation Method )
১।প্রথমে ফ্লোর চিপিং কর এবং ধুয়ে পরিস্কার করে পাতলা সিমেন্ট গ্রাউটিং করতে হবে পুরোনো ফ্লোর হলে।
২। যদি হোমোজিনিয়াস টাইলস হয় তবে টাইলস ভেজানোর দরকার নেই
৩। শুকনা মশলা ১:৩ রেশিওতে বানাতে হয় কারন ফ্লোরে অনেক কিছুর লোড পড়ে ও ব্যবহার হয় বেশী ।
৪। যথারিতি স্যনিটারী লাইন যদি নীচ দিয়ে যায় তবে লিকেজ ও প্রেসার চেক কর এর পর লেভেল পায়া কর।
৫। দরজার নীচে যেন ১/২” ক্লিয়ার থাকে সে মত পায়া হবে এর পর শুকনা মশলা ফ্লোরে ছড়িয়ে দিয়ে এর উপর টাইলস বসিয়ে লেভেল কর প্রয়োজন মত উঠানো, নামানো, সরানো যা প্রয়োজন করবে এর পর লেভেল ওকে হলে টাইলস সরিয়ে সিমেন্ট পানি মিশ্রিত গ্রাউটিং শুকনা মসলার উপর দিয়ে ঢেলে ভেজা বানাইয়ে নিয়ে মাঝে মাঝে কর্নি দিয়ে উক্ত মসলা কেটে কেটে রাফ করে দিবে এর পর টাইলস বসাতে হবে, প্রয়োজন মত রাবার হেমার দিয়ে হালকা হিট কর এবং লেভেল ফাইনাল কর ঠিক আগের নিয়মে ফাকা,পরিস্কার, কিউরিংকরতে হবে।
৬। সব টাইলস যেন এক লাইনে থাকে শর্টপিস যেন দৃষ্টি কটু না লাগে এরুপ ব্যবহার করবে আর বাথরুম হলে স্লোপ দিতে হবে খুব ক্লোজ করে ধর ৫ ‘ এ ১”।
৭। ফ্লোর টাইলস এর মসলার পুরুত্ব ফ্লোর লেভেলের উপর নির্ভর করবে তাই ছাদ ঢালাইয়ের সময় ই ছাদের টপ লেভেল সমান রাখতে হবে নতুবা টাইলস করার সময় মসলার পুরুত্ব বেড়ে যাবে এতে লোড ও নির্মান ব্যয় বেড়ে যাবে।
৮। ১ থেকে ১.৫” পুরুত্ব ফ্লোরের ক্ষেত্রে এলাওবেল।
৯। বাথরুম কিচেনের বেলায় কমোডের অংশ,ওয়েষ্ট ওয়াটার পাইপের জায়গা,ফিটিংসের,ও হাউস, বার্নার স্ল্যাব এর জায়গায় টাইলস লাগাতে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে আর কোনার টাইলস জয়েন্টে দুটো টাইলস আর সাইড গুলো V শেইপে কেটে নেবে একে মুখোমুখি মিলে যাবে একে টাইলসের চোজ করা বলে।
সতর্কতা ( Tiles Installation Method )
১) সারফেসকে ২/১ দিন পানি দিয়ে কিউরিং করতে হবে এবং শুকাতে হবে এভাবে কয়েদিন করতে হবে। নতুবা সারফেস মর্টারের পানি শোষন করে নেবে ফলে পানি ছাড়া মর্টারের সাথে টাইলসের বন্ড হবে না অথবা টাইলস বসানোর কয়েকদিনের মধ্যেই মর্টার – টাইলস বন্ড ছেড়ে দেবে।
২) মর্টারকে সঠিক নিয়মে ও রেশিওতে মিক্সিং করতে হবে প্রথম থেকে ভেজা বালি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ বালির সাথে সিমেন্ট মিসবে না। আমাদের মিস্ত্রী হেলপার সঠিকভাবে মর্টার পেস্টিং করতে চায়না অনেক জায়গায় দেখছি মর্টার ভেজানোর পর বালির কালার রয়েগেছে সেই অবস্থায় মর্টার কাজে লাগাচ্ছে। মর্টার এমনভাবে মিক্সিং করতে হবে যেন পেস্ট গ্রে কালার ধারন করে। নতুবা বন্ডিং দূর্বল হবে।
৩) আধা ভেজা মর্টার লেভেলের পর যখন এর উপর টাইলস বসানোর জন্য সিমেন্ট গোলানা পানি বা গ্রাউট দিবে তখন সেই গ্রাউটিং মিশ্রিত মর্টার বেডকে কর্ণি দিয়ে কেটে কেটে আধাভেজা মর্টারের ভেতর গ্রাউটিং ঢোকাতে হবে এখানেই আসল খেলা কারণ এই অবস্থায় মর্টার নেড়েচেড়ে মেশানোর সুযোগ নেই তাই প্রথম ড্রাই মর্টার তৈরীর সময়ই উত্তমরুপে মিশ্রণ সমুহ মেশাতে হবে। অন্যথায় এখানে সাময়িকভাবে বন্ডিং হলেও একসময় বন্ড ছেড়ে দেবে ফলে টাইলস উঠে যাবে।
৪) টাইলস করার পর দুটো টাইলসের মাঝে যে ফাঁকা জায়গা রাখা হয় সেটা পাতলা টিন বা স্ক্রেপ বা পাতলা কর্ণির মাথা দিয়ে যতটা সম্ভব গবীর করে পরিস্কার করতে হবে যাতে কিউরিং এর পানি ঢোকে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে কোন মিশ্রণের একটা ক্যামিক্যল রিয়েকশন থাকে যার বিক্রিয়ায় একপ্রকার গ্যাস তৈরি হয়। এখন টাইলসের নীচে যে মর্টার ব্যবহার হয়। তাতে থাকে সিমেন্ট আমরা জানি সিমেন্টের মধ্যে নানা প্রকার উপাদান মিশ্রীত যা পানির সাথে বিক্রিয়া করে ফলে তাপতো উৎপন্ন হয়ই সাথে গ্যাসও উৎপন্ন হয় । অন্যান্ন মর্টার পানি মিশিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয় বলে আমরা টের পাইনা।
কিন্তু ফ্লোর টাইলসের ক্ষেত্রে আধাভেজা মর্টারে সিমেন্ট পানি দিয়েই কিন্তু টাইলস বসিয়ে ফেলি ফলে এর মধ্য রিয়েকশান হয়ে রেজাল্ট (গ্যস) বের হওয়ার সুযোগ পায়না সেটা বের হওয়ার জন্যই দুটো টাইলসের মাঝের ফাঁক যা ৭ দিন রাখলে ভাল নতুবা ৩-৪ দিন। অনেক সময় শোনা যায় টাইলস লাগানোর কয়েকবছর পর প্রচন্ড শব্দে ফেটে যাচ্ছে আসলে এর কারণ হচ্ছে এই গ্যস এটা রেখেই যখন ফাঁক বন্ধ করা হয় তখন আস্তে আস্তে এটা স্টোর হতে থাকে একসময় তাপে ও চাপে এটা বিস্ফোরিত হয়।
৫) চটের বস্তা বা পানি জমিয়ে কিউরিং করতে হবে যাতে টাইলসের নীচের মর্টার আস্তে আস্তে পানি শোষনের সময় ও সুযোগ পায়। পানি সার্বক্ষনিক রাখলে টাইলসের নীচের পুরো সারফেসে পানি যাওযার সুযোগ পাবে।
ওয়াল টাইলস লাগানোর নিয়ম ( Tiles Installation Method )
১। টাইলস ওয়ালের হলে সর্ব প্রথম টাইলস গুলো পানিতে ভেজান ১-২ ঘন্টা কারন ইটের মত এগুলো ও পানি শোষন করে ।
২। ওয়াল ভেজান প্রয়োজন মত যেন ওয়াল টাইলসের মসলার পানি শোষন করতে না পারে
৩।দেয়ালের বাড়তি ইট গুলো ভেংগে নিন আর রাফ হিসাব করে দেখেন পূর্ন টাইলস কোথায় পড়বে আর শর্ট পিস কোথায় পড়বে
৪।শর্ট পিস সব সময় দরজার পিছনে দেবেন যাতে দরজা খুললে ঢাকা পড়ে যায়
৫। স্যনিটারি লাইন পানি দিয়ে চেক করুন লিকেজ আছে কিনা বা প্রেসার কেমন না হলে পরে টাইলস ভাংগা লাগবে।
৬। মসলা তৈরী করতে হবে ১:৪ ক্ষেত্র বিশেষে ১:৩ ও করা হয় এর পর দেয়ালে পায়া বা লেভেল করুন আর টাইলস লাগানো শুরু করুন।
৭। খেয়াল রাখবেন সব টাইলস যেন সমান হয় আর ২ টাইলস এর মাঝে ১-২ সুতা ফাকা থাকে
৮। টাইলস এর নীচে মসলা ঠিক মত মানে পুরো টাইলসএই যেন মসলা লাগানো হয় অন্যথা শুকালে আওয়াজ করবে আর অল্প আঘাতেই ওই অংশ ভেঙ্গে পড়বে।
৯। টাইলস সময়ই মার্কিন কাপড় দিয়ে অবশ্যই পরিস্কার করে নেবেন সাথে সাথে না হলে করার পরে উঠবেনা বা অতিরিক্ত ঘষাঘষিতে টাইলস ডিসকালার বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১০। শর্টপিস করার সময় টাইলস কার্টার দিয়ে খুব সাবধানে কাটতে হবে অন্যথা টাইলসের নিকেল উঠে যাবে।
১১। মসলার থিকনেস ১/২” থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১” পর্যন্ত এলাও তবে সব নির্ভর করবে ওয়ালের লেভেলের উপর।
১২। টাইলস করার ১২ ঘন্টা পর থেকে কিউরিং করবেন।
১৩। ৫/৭ দিন পর টাইলস ধুয়ে শুকিয়ে ফাঁকা জায়গাগুলোতে ফুটিং করবেন এর পূর্বে করলে মসলার ভেতরকার গ্যাস বের হতে না পারলে টাইলস ফেটে যাবে।
১৪।ওয়াল টাইলস সব সময় উপর থেকে নীচের দিকে করে আসলে টেকনিক্যলি সুবিধা পাওয়া যায়।
১৫। টাইলস নির্বাচনের সময় অবশ্যই সমান মাপের টাইলস নির্বাচন করবেন এবং একই রকমের টাইলস একবারে কিনে ফেলবেন।
টাইলস হিসাব
কত পিচ টাইলস লাগবে?
ফ্লোর ১৫০০ বর্গফুট জায়গায় টাইলস লাগাতে হবে তাহলে ৮% ওয়েস্টেজ সহ মোট পরিমান ১৬২০
বর্গফুটটাইলসের সাইজ ১২”x১২” হলে একটি টাইলসের এরিয়া
(১২”x১২”)÷১৪৪ = ১ বর্গফুট
টাইলসের সংখ্যা= ১৬২০÷১= ১৬২০ পিচ.টাইলস
ওয়াল
ওয়াল টাইলসে আমরা ১০% ওয়েজস্টেজ ধরি তাহলে টাইলসের পরিমান
= ১৫০০x১.১০
= ১৬৫০ বর্গফুট
টাইলসের সংখ্যা= ১৬৫০÷১= ১৬৫০ পিচ.টাইলস
টাইলস এর জন্যে মসলার হিসাব
ওয়ালে আমরা ১” পুরুত্ব মসলা ধরে থাকি ওয়ালে মসলার অনুপাত (১:২)
ফ্লোরে আমরা ১.৫” পুরুত্ব মসলা ধরে থাকি
ফ্লোরে মসলার অনুপাত (১:৩)
১৫০০ বর্গফুট ওয়াল টাইলসের মালামাল বের করবো
প্লাষ্টারের ভেজা মসলার পরিমান
= ১৫০০x(১”÷১২) = ১২৫ ঘনফুট
শুকনা মসলার পরিমান = ১২৫x১.৫ = ১৮৭.৫০
অনুপাতের যোগফল = (১+২)=৩
মালামাল
সিমেন্ট = (১৮৭.৫০x১÷৩)x০.৮ = ৫০.০০ ব্যাগ
বালি = (১৮৭.৫০x২÷৩) = ১২৫.০০ ঘনফুট
Badiuzzaman ( Rubel )



